আপনার পিসিকে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং ঝামেলামুক্ত করতে কয়েকটি কিলার টিপস !!

কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়। স্লো হয়ে যাওয়া, হ্যাং করা, ভাইরাসের আক্রমন ইত্যাদি সমস্যার সাথে মোটামুটি সবাই পরিচিত। হাই কনফিগারেশন এর পিসিতেও এই সমস্যাগুলো হতে পারে। এ সকল কারনে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ন কাজের ব্যঘাত ঘটে। তবে একটু সচেতন হলেই এই ব্যপারগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।

আপনার পিসিকে দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং ঝামেলামুক্ত করতে কয়েকটি কিলার টিপস নিয়েই এই পোস্ট।





ভাইরাস, স্পাইওয়্যার থেকে সুরক্ষা
আনেকেই মনে করে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করলে পিসি স্লো হয়ে যায়। কিন্তু ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার আপনার পিসিকে আরও বেশি স্লো করে দিতে পারে। এমনকি আপনার গুরুত্বপূর্ন তথ্যও মুছে ফেলতে পারে। এ জন্য আপনার পিসিতে যে কোন ভাল একটি এন্টিভাইরাসের লেটেস্ট ভার্শন ইন্সটল করে নিয়মিত আপডেট করা উচিত। সাথে সাথে একটি এন্টিস্পাইওয়্যারও ব্যবহার করা উচিত। ফ্রী এন্টিভাইরাস এবং এন্টিস্পাইওয়্যার নিয়ে লেখা আমার এই পোস্টটিও দেখতে পারেন।

নূন্যতম সফটওয়্যার ব্যবহারঃ
অধিক সফটওয়্যার এর ব্যবহার আপনার পিসিকে যথেস্ট স্লো করে দিতে পারে। প্রতিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করার সাথে সাথে এটি রেজিস্ট্রিতে এন্ট্রি প্রবেশ করায়। আর রেজিস্ট্রির এইসব এন্ট্রি যত বাড়তে থাকে পিসিও তত স্লো হতে থাকে। তাই চেস্টা করা উচিত যত কম সংখ্যক সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। আরেকটি ভাল সমাধান হল পোর্টেবল সফটওয়্যার ব্যবহার করা। পোর্টেবল সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রয়োজন হয় না। তাই রেজিস্ট্রি পরিস্কার থাকে।

স্টার্টআপ প্রোগ্রাম ডিজেবল করাঃ
আপনার পিসি স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু সফটওয়্যারও অটো স্টার্ট হয়। এতে করে বুটআপ স্লো হয়ে যায়। স্টার্টআপ পরিস্কার করার জন্য Start মেনুতে গিয়ে Run এ ক্লিক করুন। এরপর MsConfig লিখে এন্টার চাপুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে Startup ট্যাব এ ক্লিক করুন। এখানে যেই প্রোগ্রামগুলোতে টিক চিহ্ন দেয়া আছে সেগুলো আপনার পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় অটো স্টার্ট হয়। এখান থেকে যে সফটওয়্যারগুলো প্রয়োজন নেই সেগুলো থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার সিস্টেম এর কোন প্রোগ্রাম থেকে যেন টিক চিহ্ন তুলে না দেন। এরপর পিসি রিস্টার্ট করুন।

টেমপোরারি ফাইল, কুকি এবং রেজিস্ট্রি পরিস্কারঃ
কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করার সময় এবং সফটওয়্যার ইন্সটল করলে টেমপোরারি ফাইল জমা হয়। এই ফাইল গুলো একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। টেমপোরারি ফাইল ডিলিট করার জন্য Start Menu থেকে Run এ গিয়ে লিখুন %temp% তারপর এন্টার চাপলে টেপোরারি ফাইলগুলো দেখা যাবে। এবার কি বোর্ড থেকে Ctrl+A চেপে সবগুলো ফাইল সিলেক্ট করে Shift+Delete চেপে ডিলিট করে দিন।
ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট আপনার পিসিতে কুকি জমা করে। যার মধ্যে বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয় এবং পিসিকে স্লো করে ফেলে। কুকি ডিলিট করার জন্য ফায়ারফক্স ব্রাউজার থেকে টুলস এ ক্লিক করুন। তারপর অপশনস এ ক্লিক করে যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখান থেকে প্রাইভেসি ট্যাব এ ক্লিক করুন। এবার ক্লিয়ার নাও বাটন এ ক্লিক করে কুকি সিলেক্ট করে “ক্লিয়ার প্রাইভেট ডাটা নাও” বাটনে ক্লিক করলে কুকি ডিলিট হয়ে যাবে। আর আপনি যদি অন্য কোন ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ফায়ারফক্স ট্রাই করে দেখুন। এটি নিরাপদ, সহজ এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন।
রেজিস্ট্রি পরিস্কার করার জন্য Registry Fix আথবা Registry Easy ব্যবহার করতে পারেন।


একাধিক ম্যাসেঞ্জার বর্জন করুনঃ
অনেকেই তাদের পিসিতে ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার, গুগল টক, এমএসএন ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি একসাথে ইন্সটল করে রাখে। এগুলোও পিসিকে স্লো করে ফেলে। এতগুলো সফটওয়্যার এর কাজ আপনি একটি সফটওয়্যার দিয়েই করতে পারেন। এর জন্য PidGin অথবা Digsby ব্যবহার করুন।

ডেস্কটপে কম আইকন ব্যবহারঃ
ডেস্কটপ ভর্তি আইকন আপনার পিসির স্টার্টআপ এবং অন্যান্য কার্যক্রম ধীরগতির করে দিতে পারে। তাই ডেস্কটপে প্রয়োজনীয় ২-৩টি আইকন এর বেশি রাখা উচিত নয়। প্রোগ্রামগুলো সরাসরি স্টার্ট মেনু থেকে ব্যবহার করুন অথবা Launchy ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় ফন্ট এবং সফটওয়্যার আনইন্সটলঃ
অপ্রয়োজনীয় ফন্ট এবং সফটওয়্যার আনইন্সটল করে ফেলা উচিত। পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় ফন্টগুলো লোড হয়। ফলে স্টার্টআপ ধীরগতির হয়ে যায়। ফন্ট আনইন্সটল করার জন্য Control Panel থেকে Font ফোল্ডারে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো ডিলিট করে দিন।

এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করলে আশা করি আপনার কম্পিটার হয়ে উঠবে আরও গতিশীল এবং ঝামেলামুক্ত


Share this article :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Copyright © 2015. টেকিব্লগ - All Rights Reserved
Template Created by রিয়াদ ফারভি